হুথি বিদ্রোহী -ফাইল ছবি

গত শুক্রবার ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। ওইদিন একসঙ্গে ২৮ স্থানের ৬০টি অবকাঠামো লক্ষ্য করে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।

মূলত লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে যেন হুথিরা হামলা চালাতে না পারে সেজন্য এই কথিত ‘আত্মরক্ষামূলক’ হামলা চালায় তারা।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, তাদের এ হামলায় হুথিদের আক্রমণের সক্ষমতা হয়ত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে। কিন্তু তাদের বেশিরভাগ সক্ষমতাই অক্ষত রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, হুথিদের যেসব অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে সেগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই ধ্বংস হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের এসব হামলার কারণ লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সব বড় কোম্পানিগুলো। এখন জাহাজ লোহিত সাগর দিয়ে না গিয়ে আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহণ খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। যা পুরো বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে।

হুথিদের এসব হামলা বন্ধে হুমকি দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু এসব হুমকি তোয়াক্কা না করায় হুথিদের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

নিউইয়র্ক টাইমস আরও জানিয়েছে, মার্কিনিদের সম্ভাব্য হামলার আগে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্রসস্ত্র লুকিয়ে ফেলেছিল হুথিরা।

যেহেতু হুথিদের বেশিরভাগ সক্ষমতাই এখনো অক্ষত রয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, খুব সহসাই লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চালাবে না বৈশ্বিক পরিবহণ সংস্থাগুলো।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

এমটিআই