সুইডেনে দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছে হামাস, দাবি ইসরায়েলের
সুইডেনে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। এমন অভিযোগই সামনে এনেছে ইসরায়েল। এর আগে গত মাসে ইউরোপের কয়েকটি দেশ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইডেনে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য হামাসকে অভিযুক্ত করেছে ইসরায়েল। এর আগে গত মাসে ডেনিশ, জার্মান এবং সুইডিশ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে।
— NDTV (@ndtv) January 14, 2024
সেই গ্রেপ্তারের ঘটনার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সুইডেনে হামাস নেটওয়ার্কের একজন কথিত সদস্যের নাম সামনে এনেছে। যদিও তিনি গ্রেপ্তার হয়ে হেফাজতে আছেন কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি।
রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলের এই অভিযোগের বিষয়ে হামাসের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অতীতে এই স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি বলেছিল, তার নীতি হচ্ছে ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকাতেই কেবল তাদের আক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখা। মূলত তারা এমন সমস্ত অঞ্চল আক্রমণ চালাতে চায় যেখানে তাদের লক্ষ্য একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
এছাড়া স্টকহোমের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অবশ্য ইসরায়েলের দূতাবাসের সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে: ‘ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে বিদেশি মিশনগুলোকে রক্ষা করার জন্য যে দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে সুইডেন খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়।’
আরও পড়ুন
মোসাদের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, হামাস নেটওয়ার্ক লেবাননের একটি গ্রুপ কমান্ড পোস্ট থেকে এই ধরনের আদেশ দিয়েছে বলে একটি বহু-জাতীয় তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। ওই আদেশের লক্ষ্য ছিল- ‘সুইডেনে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা, প্যারাগ্লাইডার সংগ্রহ এবং ইউরোপে অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্যদের সক্রিয় করা’।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজারে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
টিএম