তাইওয়ানের স্বাধীনতায় সমর্থন নেই যুক্তরাষ্ট্রের : বাইডেন
চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চল তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত শনিবারের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন চীনবিরোধী নেতা ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রোসিভ পার্টির প্রার্থী উইলিয়াম লাই। যাকে তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থি হিসেবে দেখা হয়। তিনি নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাইওয়ান হয়ত স্বাধীনতা পাওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর জানিয়েছেন, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন জানাচ্ছেন না।
বিজ্ঞাপন
তাকে এক সাংবাদিক এ ব্যাপারে প্রশ্ন করার পর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতাকে সমর্থন জানাই না।’
নিজেদের পাশেই অবস্থিত স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজ অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে তাইওয়ানে চলছে গণতান্ত্রিক ধারা। এর আগে তাইওয়ান সামরিক শাসন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের দ্বারা জর্জরিত ছিল।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দেশটিকে সামরিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চীনের আশঙ্কা মার্কিনিদের সহায়তায় একটা সময় স্বাধীনতা চেয়ে বসবে তাইওয়ান।
বাইনে প্রশাসনের আশঙ্কা নতুন নির্বাচন এবং তাইওয়ানের নতুন প্রশাসন বেইজিংয়ের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব আরও বৃদ্ধি করবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও চীনের সঙ্গে তাদের ক্রমবৃদ্ধিমান খারাপ সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। গত নভেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়া সম্মেলনে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিনয়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছিলেন।
তাইওয়ানের সরকার আশঙ্কা করছে নির্বাচনের পর তাদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে চীন সামরিক মহড়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাবে।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই