গ্যাং সদস্যদের হামলার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন টিভি চ্যানেলের কর্মীরা।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে একটি টিভি চ্যানেলের স্টুডিওতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গ্যাংরা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) লাইভ চলাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটে। আর টিভির স্টুডিওতে হামলার পর গ্যাংদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।

এই হামলার পর দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৩ অস্ত্রধারীকে আটক করে। জানা গেছে, গ্যাংয়ের সদস্যদের হামলায় ওই চ্যানেলের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন।

গত সোমবার ইকুয়েডরে জেল থেকে পালিয়ে যায় ফিতো নামের এক কুখ্যাত গ্যাং সম্রাট। এরপর দেশটিতে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। তবে জেল থেকে গ্যাং সম্রাটের পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে টিভি চ্যানেলে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

গ্যাংদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া বলেছেন, ‘দেশে এখন অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র দ্বন্দ্ব চলছে এবং আন্তর্জাতিক সংগঠিত এ অপরাধীদের নির্মূলে সশস্ত্র বাহিনীকে জড়ো করা হয়েছে।’

ইকুয়েডরের প্রতিবেশী দেশ পেরু সীমান্তে পুলিশকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যেন কোনোভাবেই ইকুয়েডরের সমস্যা তাদের এখানে এসে না পড়ে।

ইকুয়েডরে মূলত মাদক চোরকারবারীর সঙ্গে জড়িত রয়েছে এসব গ্যাং। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে হেরোইন চোরাচালানের পথ নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব বাধে।

টিভি চ্যানেলে ওই গ্যাং সদস্যদের হামলায় কেউ প্রাণ না হারালেও; এক ক্যামেরাম্যানের হাতে গুলি লেগেছে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই