বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজ নাগরিকদের উচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে কানাডা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গিবাদের হুমকি, রাজনৈতিক কর্মসূচি, দেশব্যাপী হরতাল এবং সহিংস সংঘর্ষের কারণে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন।’

এছাড়া চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যে কোনো ধরনের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটি। মূলত চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সহিংসতা, অপহরণ এবং বিক্ষিপ্ত জাতিগত সংঘর্ষের কারণে এমন পরামর্শ দিয়েছে কানাডার সরকার।

ওয়েবসাইটে বিশেষ করে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশাল রাজনৈতিক র‌্যালি ও বিক্ষোভ হচ্ছে। যা নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোটকেন্দ্র গুলোতে মিলিটারি ও পুলিশ সদস্যদের অধিক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যারমধ্যে রয়েছে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট। এমনকি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভও যে কোনো মুহূর্তে সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এসব কারণে ট্রাফিক ও গণপরিবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’

এছাড়া নির্বাচনের কারণে যান চলাচলে বিধি-নিষেধ থাকবে সে বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে কানাডিয়ান সরকারের ওয়েবসাইটে। যদি পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয় এবং ভ্রমণ পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটে তাহলে ট্রাভেল এজেন্ট অথবা ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ভ্রমণে আসা নাগরিকদের কিছু স্পষ্ট নির্দেশনাও দিয়েছে কানাডা। সেগুলো হলো— যেসব এলাকায় বড় রাজনৈতিক সমাবেশ হচ্ছে সেসব এলাকা এড়িয়ে চলা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানা এবং চলমান বিক্ষোভ সম্পর্কে জানতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নজর রাখা।

কানাডা আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন বিক্ষোভ চলছে। যেগুলো সামনে আরও হতে পারে। সেজন্য সতর্ক থাকবে হবে। এসব আন্দোলন চলার সময় বিশেষ করে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়ক ও গুলশান এভিন্যিউর ৭৯ নম্বর সড়ক এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

এমটিআই