লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধ করলে তা ইসরায়েলের বিপর্যয়ের কারণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।

বুধবার টিভি-ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘যদি শত্রুপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তাহলে কোনোরকম সংযম না দেখিয়ে, কোনো নিয়ম না মেনে, কোনো বিধিনিষেধ না মেনে, সীমাহীনভাবে যুদ্ধ করব।’

নাসরাল্লাহ জানিয়েছেন, ‘আমরা যুদ্ধকে ভয় পাই না।’

একদিন আগেই রাজধানী বৈরুতে ড্রোন হামলায় হামাস নেতা সালেহ আরৌরির মৃত্যু হয়েছে। তারপরই ইসরায়েলকে হুমকি দেন নাসরাল্লাহ। আরৌরি ছিলেন হামাস ও হিজবুল্লাহের মধ্যে যোগাযোগের সেতু। হিজবুল্লাহকেও জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল ও অন্য কয়েকটি দেশ।

হিজবুল্লাহ নেতা জানিয়েছেন, আরৌরির মৃত্যু একটা ভয়ঙ্কর অপরাধ যা নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না। তিনি এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। ইসরায়েল অবশ্য এখনও জানায়নি, তারাই ওই ড্রোন আক্রমণ করেছিল কিনা।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েল একাধিকবার একে অন্য়ের দিকে রকেট আক্রমণ করেছে।

এদিকে গাজা নিয়ে দুই ইসরায়েলি মন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। ইসরায়েলি ওই দুই মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এই যুদ্ধের ফলে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করা হতে পারে।’

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা কঠোরতম ভাষায় দুই মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলেছে, ওই দুই মন্ত্রীর বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উত্তেজনা-সৃষ্টিকারী।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেলও বলেছেন, মন্ত্রীদের বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইন-বিরোধী।

টিএম