হামাসের উপপ্রধানকে হত্যা, উচ্চ সতর্কতায় ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-অরৌরিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে তিনিসহ হামাসের সাত সদস্য নিহত হন।
যদিও ইসরায়েল এখন পর্যন্ত সরাসরি এ হত্যার দায় স্বীকার করেনি। তবে তারাই যে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল সেটি নিশ্চিত বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
লেবাননের মাটিতে হামাসের উপপ্রধানকে হত্যা করায় দেশটির শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দখলদার ইসরায়েল। আর এর অংশ হিসেবে সেনাদের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী আত্মরক্ষা এবং হামলা সবদিকেই উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আমরা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে তারা বলেছে, ‘সালেহ আল-অরৌরির হত্যাকাণ্ড লেবাননের উপর গুরুতর হামলা। এছাড়া এটি শত্রু এবং প্রতিরোধ জোটের মধ্যে চলমান যুদ্ধের একটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা। এই অপরাধ কোনো প্রতিক্রিয়া অথবা শাস্তি ছাড়া শেষ হবে না।’
হামাস প্রধান ঈসমাইল হানিয়া জানিয়েছেন, লেবাননে সালেহ আল-অরৌরির সঙ্গে সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের দুজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, সালেহ এবং অন্যান্যরা একটি ভবনের ভেতর বৈঠক করছিলেন। তখন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই