পথে চলার মাঝে মোবাইল বা মানিব্যাগ চুরি কিংবা বাড়ি ফাঁকা থাকলে টাকা-পয়সা, সোনার গহনা চুরির ঘটনা ঘটে প্রায়ই। কিন্তু পুরো একটি পুকুর ‘চুরি’ হয়ে যাওয়ার কথা হয়তো কেউ কখনও শোনেনি। তবে এবার এটাই ঘটেছে।

রাতারাতি চুরি হয়ে গেল পুকুর। গোটা পুকুরটাই উধাও হয়ে তার জায়গায় তৈরি হয়ে গেল কুঁড়ে ঘর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙা জেলায়। সোমবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অবশ্য এর আগে বিহারেই চুরি হয়ে গিয়েছিল ৬০ ফুটের দীর্ঘ সেতু ও ট্রেনের ইঞ্জিন। এবার চুরি হলো পুকুর। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত গ্রামবাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই পুকুরটি সরকারের মালিকানাধীন। মূলত মাছ ধরাসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা হতো পুকুরটি। কিন্তু দ্বারভাঙায় জমির দাম বাড়তে শুরু করার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে নজর ছিল জমি মাফিয়াদের। চলতি সপ্তাহে হঠাৎ একদিন সকালে উঠে তারা দেখতে পান, পুকুরটি আর নেই।

পুকুরের বদলে সেখানে এখন সমান মাটির জমি, তার ওপরে রয়েছে একটি কুঁড়ে ঘরও! রাতারাতি কোথায় গায়েব হয়ে গেল পুকুর? সেখানে কুঁড়েঘরই বা এল কী করে? তা বুঝতে না পেরে গ্রামবাসীরা পুলিশে অভিযোগ জানান। যতক্ষণে পুলিশ এসে পৌঁছায়, ততক্ষণে পালিয়ে যায় জমি মাফিয়ারা।

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগেও জমি মাফিয়ারা পুকুর ভরাটের চেষ্টা করেছিল। সেই সময় জোনাল অফিসে অভিযোগ জানালে সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও দমেনি জমি মাফিয়ারা। রাতের অন্ধকারে তারা গোপনে পুকুর ভরাট করছিল। এরপর একদিন রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় পুকুর।

দ্বারভাঙার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার অমিত কুমার বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তাদের দাবি, ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুকুর ভরাটের কাজ করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেই এই কাজ হতো। এর আগে আমাদের কাছে যখন অভিযোগ এসেছিল, তখন কর্মকর্তারা পুকুর ভরাট আটকে দিয়েছিল এবং বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল।’

প্রসঙ্গত, অদ্ভুত এমন চুরির কাণ্ড বিহারে এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিহারের বেগুসরাইয়ের রেল ইয়ার্ড থেকে পুরো একটি ডিজেল ইঞ্জিন চুরি হয়ে যায়। তারও আগে ৬০ ফুটের একটি ফুট ব্রিজও চুরি হয়ে যায় রোহতাস থেকে।

টিএম