গাজা উপকূল -ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ জাহাজের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী আগায় তাহলে, ২০০৭ সালের পর প্রথমবারের মতো গাজায় সাগর পথের অবরোধ তুলে নিতে পারে দখলদার ইসরায়েল।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেসব ত্রাণ পাঠানো হবে সেগুলো সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দরে আসবে। ত্রাণের আড়ালে কোনো অস্ত্র আসছে না সেটি নিশ্চিতে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে ইসরায়েল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৩০ মাইল দূরে অবস্থিত গাজা উপত্যকায় ত্রাণগুলো ফেরিতে করে নিয়ে আসা হবে।

বর্তমানে গাজায় ত্রাণ আসছে মিসরের রাফাহ ক্রসিং ও ইসরায়েল-গাজার কারিম আবু সালেম ক্রসিংয়ের মাধ্যমে।

গাজার উপকূল গভীর না হওয়ায় সেখানে বড় জাহাজ ভিড়তে পারে না। তবে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, গ্রিস এবং নেদারল্যান্ডের এমন জাহাজ রয়েছে যেগুলো অগভীর পানিতে নোঙর করতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাদের বর্বর হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। বর্তমানে তারা অস্থায় তাঁবুতে বসবাস করছেন। বাড়ি-ঘর হারানো এসব মানুষ এখন খাদ্যাভাবেও পড়েছেন। এছাড়া পানি ও এবং চিকিৎসা সরঞ্জামেরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

তবে ইসরায়েলিরা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিলেও সেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ ইসরায়েলি সেনাদের বর্বর হামলার কারণে মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই