সিরিয়ায় বিমান হামলায় ইরানপন্থী ১০ যোদ্ধা নিহত
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সম্ভাব্য মার্কিন বিমান হামলায় ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠীর কমপক্ষে ১০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। শনিবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। ব্রিটেন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই হামলার জন্য ওয়াশিংটন পুরো অঞ্চলজুড়ে তেহরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছে।
বিজ্ঞাপন
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সম্ভাব্য মার্কিন বিমান হামলায় সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় তিন সিরীয়সহ ইরানপন্থী অন্তত ১০ যোদ্ধা নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ব্রিটেন-ভিত্তিক এই সংস্থা বলেছে, ইরাক সীমান্তের কাছে সিরিয়ার দেইর ইজোর প্রদেশের আলবু কামাল এবং এর আশপাশের সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি বলেছে, ইরাক থেকে আসা একটি অস্ত্রের চালান এবং একটি গোলাবারুদের গুদামেও বিমান থেকে হামলা হয়েছে। সিরিয়ার ওই অঞ্চলে অন্তত ৯ বার বিমান হামলা করা হয়েছে।
এদিকে, ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলেছে, তাদের অন্তত চার যোদ্ধা জেরুজালেমে যাওয়ার পথে নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহর এই যোদ্ধারা সিরিয়ার দেইর ইজোর প্রদেশের আবু কামাল এলাকায় মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
কুর্দিস্তান অঞ্চলের একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় মার্কিন তিন সৈন্য আহত হওয়ার পর চলতি সপ্তাহে ইরাকে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিলিশিয়াদের হামরায় আহত এক মার্কিন সৈন্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সিরিয়ান অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেইর ইজোর প্রদেশের দুটি স্থানে মার্কিন হামলায় তেহরান-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর অন্তত আট সদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সামরিক এক কর্মকর্তা বলেছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে শতাধিক হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইরত বহুজাতিক জোটের অংশ হিসেবে বর্তমানে ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার এবং সিরিয়ায় ৯০০ সৈন্য রয়েছে।
সূত্র: এএফপি।
এসএস