২০১৯ সালে ভারতে তিন তালাক প্রথাকে বেআইনি এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয় (প্রতীকী ছবি)

অসুস্থ ভাইকে কিডনি দান করেছিলেন এক নারী। আর একথা জানানোর পরই ওই নারীকে তালাক দিয়েছেন তার প্রবাসী স্বামী। সেটিও আবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। তালাক দেওয়া ব্যক্তিটি সৌদি আরবে কাজ করেন।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসুস্থ ভাইকে একটি কিডনি দান করার পরে স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিন তালাক দিয়েছেন এক ব্যক্তি। লোকটি সৌদি আরবে কাজ করেন এবং তার স্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বাইরিয়াহি গ্রামে বসবাস করেন।

এনডিটিভি বলছে, ভুক্তভোগী ওই স্ত্রী তার একটি কিডনি দান করে ভাইকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। অসুস্থ ভাইকে বাঁচাতে করা তার এই মহৎ কাজটি তার বিবাহ ভেঙে দেওয়ার কারণ হয়ে যাবে, এমনটি ওই নারী আশা করেননি।

ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভাইকে কিডনি দেওয়া সম্পর্কে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে জানানোর পরপরই ওই স্বামী তাকে তিন তালাক দেন। তবে এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। মূলত ২০১৯ সালে ভারতে তিন তালাক প্রথাকে বেআইনি এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছিল।

এনডিটিভি বলছে, মুসলিম নারী (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইনের অধীনে তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইন লঙ্ঘনে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই ধরনের মামলায় আগাম জামিন মঞ্জুর করতে কোনও বাধা নেই, যদি আদালত গ্রেপ্তার-পূর্ব জামিন দেওয়ার আগে অভিযোগকারী নারীর কথা শোনেন।

টিএম