রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে— ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ যদি আলোচনা করতে চায়, তাহলে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন তারা। তবে এক্ষেত্রে রাশিয়া কখনো জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেবে না।

বিশেষ সামরিক অভিযানের দোহাই দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠান পুতিন। এরপর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। গত দুই বছরে পুতিন একাধিকবার বলেছেন, তিনি আলোচনা করতে রাজি আছেন। তবে পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, সত্যিকারের আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (২০২৪ সালের নভেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রতিরক্ষা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন এ ব্যাপারে বলেন, ‘ইউক্রেনে, ইউরোপে ও যুক্তরাষ্ট্রে— যারা রাশিয়ার প্রতি আগ্রাসী— তারা কী আলোচনা করতে চায়? করুক। তবে আমরা আলোচনা করব জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী।’

‘যা আমাদের তার কিছুই ছাড় দেব না।’ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন পুতিন।

ইউক্রেনের ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ অঞ্চল বর্তমানে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এবং ২০২২ সালে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চল অধিগ্রহণ করে রাশিয়া।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা থাকবে; ততদিন পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন তারা। তবে দুই বছরের বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ায় এবং বড় ধরনের কোনো সাফল্য না পাওয়ায় পশ্চিমারা ইউক্রেনে সামিরক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই