বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। তবে এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচনে না গিয়ে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।

তাদের অবরোধের মধ্যে রেললাইন উপড়ে ফেলে ট্রেন ফেলে দেওয়া ও বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

নির্বাচন পূর্ববর্তী এসব সহিংসতা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অন্তরায় হয়ে দাড়াচ্ছে কি না— এমন প্রশ্ন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে। এর জবাবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সহিংসতা বিহীন নির্বাচন দেখতে চান তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমার দুটি প্রশ্ন আছে— একটি হলো বাংলাদেশ নিয়ে। আরেকটি হলো ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি নিয়ে।’

প্রথম প্রশ্ন— ‘নির্বাচন বানচাল করতে অবরোধের মধ্যে যাত্রীপূর্ণ বাস ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উপড়ে ফেলা, বাস হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে কি না?’

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘এই পোডিয়াম থেকে আপনি আমাকে অব্যাহতভাবে বলতে শুনেছেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলো সেই নির্বাচন যেটি কোনো সহিংসতা ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে।’

সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর

এমটিআই