লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সহিংসতার তীব্রতা বেড়েছে। দুই পক্ষই সীমান্তে হামলা-পাল্টা হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে লেবানন থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহর মা’ওলাত-তারসিহায় অন্তত আটটি রকেট ছোড়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ছোড়া রকেট আয়রন ডোম ব্যবহার করে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি রকেট উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে। তবে হিজবুল্লাহর ছোড়া এ রকেটে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের নাকোওরা, জিবকিন, ইয়ারিন, মারওয়াহিন এবং জেব্বানে বোমা হামলা চালিয়েছে।

দুই মাসে আগে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় ছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে অব্যাহতভাবে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালের পর যা হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা। তবে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের এ সংঘাত সীমান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হুমকি দিয়েছে, যতক্ষণ দখলদার ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তাদের বর্বরতা বন্ধ না করছে ততক্ষণ তাদের এসব হামলা অব্যাহত থাকবে। গোষ্ঠীটি আরও হুমকি দিয়েছে, হামলার তীব্রতা দিন দিন শুধু বৃদ্ধি পাবে।

হিজবুল্লাহর তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলিদের হামলায় এখন পর্যন্ত তাদের ১০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলিরা তাদের হতাহতের তথ্য প্রকাশ না করলেও; হিজবুল্লাহর দাবি, তাদের হামলায় একশরও বেশি ইসরায়েলি সেনা আহত বা নিহত হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই