ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন সিন্ডিকেট পরিচালনার অভিযোগে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বিদেশি এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে | ছবি : বারনামা

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন সিন্ডিকেট পরিচালনার অভিযোগে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বিদেশি এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। এই দম্পতির পুরুষ সদস্য বাংলাদেশি নাগরিক, আর তার স্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১টার দিকে অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়ার জোহর অভিবাসন বিভাগ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোহর বারুর একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক বাহারুদ্দিন তাহির বলেছেন, ৪৪ এবং ৩৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি-ইন্দোনেশীয় ওই দম্পতিকে অপারেশন সেরকাপ পরিচালনার সময় গ্রেপ্তার করা হয়।

‘‘ওই দম্পতির পুরুষ সদস্য বাংলাদেশের এবং নারী ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। পাসির গুদাংয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’

বাহারুদ্দিন তাহির বলেন, এই দম্পতির প্রধান টার্গেট বিদেশি কর্মী, বিশেষ করে বাংলাদেশি নাগরিকরা— যারা ইতিমধ্যে ওয়ার্ক পারমিট নবায়নের জন্য আবেদন করেছেন এবং ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে (আরটিকে ২.০) ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন নবায়নে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।

তিনি বলেন, নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে দাবি করা এই দম্পতি প্রত্যেকটি ওয়ার্ক পারমিটের আবেদনের জন্য আড়াই থেকে তিন হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ফি নিতেন।

জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা ওই দম্পতির কাছ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৩টি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট জব্দ করেছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৪ হাজার ৯৮৩ রিঙ্গিত উদ্ধার করা হয়।

বৈধ নথিপত্র ছাড়া মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করায় নারীর বিরুদ্ধে দেশটির অভিবাসন আইন-১৯৫৯/৬’র ধারা ৬ (১) (সি) অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে। জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক বলেন, আর বাংলাদেশি ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে বৈধ অনুমতি ছাড়া বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য অভিবাসন আইন-১৯৫৯/৬’র ৫৫ই ধারা এবং অন্য ব্যক্তির পাসপোর্ট বেআইনিভাবে নিজের কাছে রাখার দায়ে পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬’র ১২(১)(এফ) ধারায় তদন্ত করা হচ্ছে।

সূত্র: দ্য স্টার।

এসএস