ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের কাছে অসংখ্য বেসামরিক সাধারণ মানুষকে আটক করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এরপর তাদের নগ্ন করে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, এসব সাধারণ ফিলিস্তিনি তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। আর তারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সন্দেহভাজন সদস্য।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যাদের ইসরায়েলি সেনারা আটক করেছে তারা বেসামরিক সাধারণ মানুষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের নগ্ন করে অত্যাচার চালানো হয়েছে।

সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে— ওই ফিলিস্তিনিদের গায়ের সব কাপড় খুলে ফেলা হয়েছে (শুধুমাত্র আন্ডারওয়্যার পরিহিত), তাদের হাত ও চোখ বেধে রাখা হয়েছে।

একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অর্ধনগ্ন এসব ফিলিস্তিনিকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এছাড়া ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযানও শুরু করে তারা।

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি সেনারা এখন পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধসহ সব ধরনের মানবতা বিরোধী কাজ করেছে। নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলিদের হামলায় পুরো গাজা এখন মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে।

যুদ্ধের শুরুতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এখন তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলে। বিশেষ করে খান ইউনিসকে লক্ষ্য করেছে তারা। বর্তমানে খান ইউনিস এলাকা বেশ উত্তপ্ত রয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা

এমটিআই