কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাদ দিয়ে তৈরি হওয়া ফলক নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার পর যে ফলক লাগানো হয়েছিল তাতে ছিল না বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। সেই বিতর্কিত ফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে। 

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভেঙে ফেলা হয় সেই ফলক। এরপর নতুন ফলক বসানো হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগেই ফলক সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পেতেই শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা ঘর, রবীন্দ্রভবন এবং গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেতপাথরের ফলক বসানো হয়। তাতে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল। শুধু বাদ ছিল কবিগুরু। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৪ দিন টানা আন্দোলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রী–বিধায়ক–সংসদ সদস্যরা। প্রতিবাদ সর্বত্র ওঠার পর বিতর্কিত ফলক সরানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়েন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই দায়িত্ব নেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান তিনি। দ্রুত ওই ফলক পরিবর্তন করার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।

তবে নতুন ফলকে আচার্য অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী এবং উপাচার্যের নাম নেই। নতুন ফলকের মাঝখানে আছে অশোকস্তম্ভ। দু’‌পাশে রয়েছে ইউনেস্কো এবং বিশ্বভারতীর লোগো। আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী, বিশ্বভারতীকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে নতুন ফলকে। বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষাতে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

জেডএস