সমুদ্রের পানি দিয়ে হামাসের সুড়ঙ্গ ডোবানোর পরিকল্পনা, কী হবে এতে?
ভূমধ্যসাগর থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের গোপন সুড়ঙ্গগুলো ডুবিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে পানি ঢোকানোর জন্য শক্তিশালী পাঁচটি পাম্পও স্থাপন করেছে দখলদার ইসরায়েলিরা। তাদের ধারণা, পানি দিয়ে ভরে ফেললে সুড়ঙ্গের ভেতরে থাকা হামাসের যোদ্ধারা উপরে ওঠে আসবেন।
বিজ্ঞাপন
তবে ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ফিলিস্তিনি অথরিটি (পিএ) সতর্কতা দিয়েছে, যদি গাজায় পাম্পের মাধ্যমে সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের নোনতা পানি দিয়ে ভরা হয়; তাহলে এটির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো গাজার ওপর।
তারা বলেছে, সুড়ঙ্গে পানি দিলে এগুলোর আশপাশে যেসব ভবন আছে সেগুলো ধসে পড়বে। যারমধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে। ভবন ধসে সেখানে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে।
আরও পড়ুন
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি অথরিটি এ ব্যাপারে বলেছে, ‘এটির মাধ্যমে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয় ঘটবে। কারণ এরমাধ্যমে ভবন ধসে আরও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে।’
‘এছাড়া এরমাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি এবং ময়লা পানির সঙ্গে সমুদ্রের পানির মিশ্রন হয়ে যাবে। এতে স্বাস্থ্যখাতে বিপর্যয় দেখা যাবে।’
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। ওই সময় ইসরায়েল জানায় গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করবে তারা। এছাড়া হামাসের যত গোপন সুড়ঙ্গ আছে সেগুলোর সব ধ্বংস করা হবে। তবে ওই লক্ষ্য এখনো পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েলের দখলদার সেনারা। এ কারণে এখন সুড়ঙ্গগুলো পানি দিয়ে ডুবিয়ে ফেলতে চাইছে তারা।
২০১৫ সালে গাজার সীমান্ত ঘেঁষা সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের পানি দিয়ে ডুবিয়ে ফেলেছিল মিসর। মূলত মিসর থেকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে চোরাচালানের মাধ্যমে অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র আনত হামাস।
সূত্র: আলজাজিরা
এমটিআই