ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান চলছে টানা প্রায় দুই বছর ধরে। রুশ এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রিপাবলিকানরা এবার হাউসে ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ আটকে দিয়েছে।

এতে করে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থ হাতে নেই বাইডেন প্রশাসনের। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘কংগ্রেস যদি দ্রুত এই প্যাকেজ অনুমোদন না করে, তাহলে রাশিয়া লাভবান হবে।’

হোয়াইট হাউস আরও বলেছে, ‘সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে, আমাদের হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থও আর নেই। কংগ্রেস যদি প্যাকেজ অনুমোদন না করে, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সাহায্য করা যাবে না।’

গত অক্টোবরে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে ১০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করতে বলে। এর থেকে ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সাহায্য করার কথা ছিল। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এখন রিপাবনিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা এই অনুমোদন দেয়নি।

সোমবার হাউসের স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন জো বাইডেনের বাজেট ডিরেক্টর। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের হাতে কোনও জাদুর ঘড়া নেই, যা দিয়ে আমরা পরিস্থিতি সামলাতে পারি। আমাদের হাতে কোনও অর্থ নেই। আর আমাদের হাতে সময়ও নেই।’

তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কংগ্রেস ওই প্য়াকেজে অনুমোদন না করে, তাহলে এই বছরের শেষে আমাদের হাতে কোনও অর্থ থাকবে না, যা দিয়ে আমরা ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র বা যন্ত্রপাতি কিনতে পারি।  আর এই অস্ত্র ও সাহায্য না পেলে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে পারবে না। তারা যেটুকু অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেটিও নষ্ট হবে।’

জতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যক সুলিভান বলেছেন, যদি প্যাকেজ অনুমোদিত না হয়, তাহলে রাশিয়া লাভবান হবে। তিনি সংবাদিকদের বলেছেন, ‘কংগ্রেসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সাহায্য করবে, নাকি পুতিনের লাভ দেখবে।’

তবে হাউসের স্পিকার মাইক জনসন হোয়াইট হাউসের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নিয়ে কোনও স্পষ্ট কৌশল নেই। এই বিরোধ মেটানোর পথ কী, মার্কিন করদাতার অর্থ দিয়ে যে সাহায্য করা হচ্ছে, তা খরচ করার পরিকল্পনা কোথায়, এর জন্য কে দায়বদ্ধ থাকবে? এ সবই হলো ন্যায্য প্রশ্ন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে যদি কোনও বাড়তি প্যাকেজ দিতে হয়, তাহলে তা আমেরিকার সীমান্ত থেকে শুরু হওয়া দরকার।’

সিনেটের রিপাবলিকান নেতা ম্যাকনেল জানিয়েছেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।’

রিপাবলিকানরা বলছেন, মার্কিন সীমান্তের নিরাপত্তা, অভিবাসীদের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে স্পষ্ট করতে হবে।

টিএম