‘ঈশ্বরের সতর্কবার্তায়’ রাজনীতির পরিকল্পনা বাতিল রজনীকান্তের
রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ ভারতের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্ত। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলিউডের এই সুপারস্টার ঈশ্বরের সতর্কবার্তা পাওয়ায় রাজনীতিতে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি রাজনীতিতে আসতে পারছি না। এই সিদ্ধান্তটি আপনাদের জানাতে আমার যে কী কষ্ট হচ্ছে, তা শুধু আমিই অনুভব করতে পারছি।’
বিজ্ঞাপন
গত ২৫ ডিসেম্বর উচ্চ-রক্তচাপজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রজনীকান্ত। চিকিৎসা শেষে গত ২৭ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এর দু’দিন পরই রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ার ঘোষণা দিলেন রজনীকান্ত।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সেবার জন্য নির্বাচনী রাজনীতিই একমাত্র পথ নয়। রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে থাকা যায়। আমি বুঝতে পারছি, আমার এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ এবং আমার ভক্তরা আঘাত পাবেন, কিন্তু (এক্ষেত্রে) আমি শুধু তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারি।’
‘হাসপাতলে ভর্তি’র বিষয়টি আমি ঈশ্বরের সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচনা করছি। মহামারির এই মুহূর্তে যদি আমি রাজনৈতিক দলের প্রচারণা শুরু করি, তা জনস্বাস্থ্যে গুরুতর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’
বর্তমানে ৭০ বছর বয়সী এই অভিনয় তারকাকে গত ২৫ বছর ধরেই সক্রিয় রাজনীতিতে আসার প্রত্যাশা করছেন তার ভক্তরা। তবে রজনীকান্ত বরাবরই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
গত অক্টোবরে দক্ষিণ ভারতের এই অভিনেতার মূত্রনালী সংক্রমণের অপারেশন হয় এবং চিকিৎসকরা জানান, তার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর প্রেক্ষিতে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে রোদ এবং ধুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা। ৩ ডিসেম্বর রজনীকান্ত ঘোষণা দেন, রাজনৈতিক দল গঠন করে তামিলনাড়ু রাজ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তখন তিনি বলেছিলেন, ‘হয় এবার নয়তো কখনও নয়।’
আগামী ৩১ ডিসেম্বর তার রাজনৈতিক দল ঘোষণা করার কথা থাকলেও জানুয়ারিতে তা পিছিয়ে দেয়া হয়।
জানুয়ারিতে পোঙ্গাল উৎসবের দিন এবং তামিলনাড়ুর অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল এআইডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা এমজি রামচন্দ্রানর জন্মবার্ষিকীর দিন রজনীকান্ত তার রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করছিলেন এই অভিনেতার অনুরাগী তামিলনাড়ুর রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এআইডিএমকের নেত্রী জয়ললিতা এবং ডিএমকের নেতা এম করুণানিধির মৃত্যুতে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, রজনীকান্তের রাজনৈতিক দল তা পূরণে অনেকটাই সক্ষম হবে বলে আশা করেছিলেন তারা।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসএমডব্লিউ/এসএস