লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজে হামলা
লোহিত সাগরে ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ এবং কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্নে এবং কয়েকটি বাণিজিক্য জাহাজে হামলার ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়টি পরিষ্কার হলে আমরা পরবর্তীতে আরও তথ্য জানাব।’
বিজ্ঞাপন
সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, লোহিত সাগরে চলার সময় একটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজে দুটি ড্রোন আঘাত হানে। যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আমব্রে এরআগে জানিয়েছিল উত্তর ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে তাদের অপর একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে জানায়নি, এসব হামলা কোন জায়গা থেকে চালানো হয়েছে। তবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে একাধিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। তারা মূলত ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলি কোম্পানির একটি জাহাজ তারা জব্দও করেছে।
এরআগে যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা হয়েছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে ওই সময় তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
নাম গোপন রাখার শর্তে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইয়েমেনের সানার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হামলা শুরু হয় এবং এটি ৫ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।
সমুদ্রে ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্য করার সঙ্গে সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি ও স্থান দখল করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকেই গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আর গাজায় হামলার প্রতিশোধ নিতে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দেয় হুথিরা।
লোহিত সাগরে হামলার ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেনি হুথিরা। তবে এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি’ প্রকাশ করা হবে।
সূত্র: আলজাজিরা
এমটিআই