দোহায় গুপ্তহত্যা চালাতে পারে মোসাদ, আশঙ্কা কাতারের
কাতারে বসবাসরত হামাসের শীর্ষ নেতাদের ওপর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যরা গুপ্ত হামলা চালাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে খোদ কাতার।
ইসরায়েল কাতারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দোহায় অবস্থানরত হামাসের নেতাদের ওপর গুপ্তহামলার চেষ্টা চলাবে না তারা— তবে সেটি শুধুমাত্র এই সময়ের জন্য হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ইসরায়েল হুমকি দেয় তারা হামাসের পুরো নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা চালিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে।
আরও পড়ুন
হামাসের নেতারা গাজা এবং অন্যান্য দেশে বসবাস করে থাকেন। যার মধ্যে রয়েছে কাতারের রাজধানী দোহা, লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুল। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় নেতারা থাকেন দোহায়। মূলত পশ্চিমাদের সঙ্গে চুক্তির পরই হামাসকে তাদের সদর দপ্তর খোলা ও অবস্থানের অনুমতি দিয়েছে কাতার। যেন হামাসের নেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনে আলোচনা করা যায়।
কাতার জানিয়েছে, হামাসের নেতাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার যে হুমকি ইসরায়েল দিয়েছে— এটির অর্থ, তাদের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দোহায় অবস্থানরত হামাস প্রধান ঈসমাইল হানিয়া এবং খালেদ মিশালের মতো নেতাদের ওপর চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে পারে।
দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের বর্বর ও নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত হামাসের বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, নিহতরা ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
হামাসের যোদ্ধা ও কমান্ডারদের পাশাপাশি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি। যাদের ৭০ শতাংশই হলেন নারী ও শিশু।
এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় গাজার প্রায় ২ লাখ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধ কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় কেউই।
সূত্র: দ্য টাইমস
এমটিআই