ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। যা দুই দফা বৃদ্ধি হয়ে সাতদিন পর্যন্ত গড়ায়। তবে মতামতে অমিল থাকায় গতকাল শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে আবারও যুদ্ধে লিপ্ত হয় দুই পক্ষ।

যুদ্ধ শুরু হলেও মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকে। তবে শুক্রবার এই আলোচনা ভেস্তে যায়। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে— এখন হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কী হবে? এছাড়া হামাসের হাতে যেসব ইসরায়েলি জিম্মি আছে তাদের কী হবে? কারণ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টির ওপর ভিত্তি করেই মূলত যুদ্ধবিরতি হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক বিশ্লেষক বলেছেন, যুদ্ধে এখন কী হবে; এ বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কারণ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ সপ্তাহে নতুন করে হুমকি দিয়েছেন— গাজা থেকে হামাসকে তারা নির্মূল করবেনই। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি অবহিত করেছেন তার দখলদার সেনারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা সম্প্রসারিত করবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সতর্কতা দিয়েছে, যুদ্ধের শুরুতে গাজার উত্তরাঞ্চলে তারা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে; দক্ষিণাঞ্চলে সেটির পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। তারা আরও জানিয়েছে, নতুন করে গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র আর দেখতে চায় না।

সিএনএনের বিশ্লেষক বলেছেন, ইসরায়েল এখন লক্ষ্য ঠিক করেছে— যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস নির্মূল না হচ্ছে ততক্ষণ তারা যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে। ফলে যুদ্ধবিরতির পর যে হামলা শুরু হয়েছে সেটি আগের বারের চেয়ে আরও তীব্র হতে পারে।

এছাড়া হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতি হবে কিনা সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। কিন্তু গাজায় এখনো ইসরায়েলের ১০০ জনেরও বেশি জিম্মি আটকে আছে। ফলে তাত্ত্বিকভাবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন সিএনএনের এ বিশ্লেষক। কারণ হামাস ১০ জিম্মিকে মুক্তি দিলেই ইসরায়েল একদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই