ভবিষ্যৎ হামলা ঠেকাতে গাজা সীমান্তে ‘বাফার জোন’ তৈরির পরিকল্পনা করছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এ পরিকল্পনার ব্যাপারে তারা কয়েকটি আরব দেশকে অভিহিত করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মিসর ও আঞ্চলিক কয়েকটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স শনিবার (২ ডিসেম্বর) আরও জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে যখন ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ হবে; তখন এই বাফার জোন তৈরির কাজ চলবে। আর এটি খোদাই করা হবে গাজার ভেতর।

বাফার জোনের মাধ্যমে ইসরায়েল ও গাজাকে বিভক্ত করা হবে। এই নির্দিষ্ট জোনের মধ্যে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।  

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল মিসর, জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আপাতত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সৌদি আরবকেও এ পরিকল্পনার ব্যাপারে জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।

অপরদিকে অ-আরব দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ককে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।

নাম ও পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সূত্রটি বলেছে, ‘ইসরায়েল গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে এই বাফার জোন চায়। যেটি উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এই বাফার জোন ভবিষ্যতে হামাস ও অথবা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করবে।’

ইসরায়েলের এ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে সৌদি, মিসর, কাতার এবং তুরস্কের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। অপরদিকে জর্ডানের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বার্তাসংস্থাটি।

আরব আমিরাতের এক কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে; তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেছেন, সব পক্ষ যুদ্ধ পরবর্তী যে পরিকল্পনা মেনে নেবে সেটিতে সমর্থন দেবে আরব আমিরাত।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বৈদেশিক নীতি পরামর্শক অফির ফাল্ক বলেছেন, এই পরিকল্পনা এরচেয়েও বিস্তৃত। আর পরিকল্পনাটি তিন ধাপের হবে। যেটি বাস্তবায়ন হবে হামাসকে নির্মূল করার পর। প্রথমে হামাসকে নির্মূল করা হবে। এরপর গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ এবং মৌলবাদ থেকে মুক্ত করা হবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই