অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জিম্মি থাকা ইসরায়েলি দুই নারীকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীগোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই দুই জিম্মিকে হামাস হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে শেষ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ একদিনের জন্য বাড়ানোয় বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর আরও কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া দুই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কনসার্ট থেকে অপহৃত ২১ বছর বয়সী মিয়া চেম এবং ৪০ বছর বয়সী অমিত সোসানা। মিয়া চেমের ইসরায়েলের পাশাপাশি ফরাসি নাগরিকত্বও রয়েছে। 

যুদ্ধরত ইসরায়েল এবং হামাস তৃতীয় দফায় সপ্তম দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাদের ছেড়ে দিয়েছে হামাস। মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য আলোচনার মাধ্যমে চাপ দিয়ে আসছে।

হামাসের সাথে ইসরায়েলের মাঝে প্রথম দফায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয় গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর)। পরে চুক্তির শেষ দিনে তা আরও দুদিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। এরপর আরও একদফায় এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামীকাল শুক্রবার সকালের দিকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হবে।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার প্রতিশোধে গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করে গত ৭ অক্টোবর উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। একই দিন ইসরায়েল থেকে ধরে নিয়ে গাজায় ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে রাখে হামাস।

যুদ্ধবিরতি চলাকালে হামাস মোট ৯৭ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। যাদের মধ্যে ৭০ জন ইসরায়েলি নারী, কিশোর এবং শিশু। তিন ফিলিস্তিনি নারী এবং কিশোর বন্দীর বিনিময়ে একজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এছাড়া একই সময়ে কয়েকটি দেশের সরকারের সাথে হামাসের চুক্তির আওতায় অন্য ২৭ বিদেশি জিম্মিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা।

এসএস