হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের মিসরে নেওয়া হচ্ছে -ফাইল ছবি

যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিনে আট জীবিত জিম্মি ছাড়াও তিন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নতুন করে একদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল।

হামাসের নেতা বাসিম নাঈম লন্ডনভিত্তিক কাতারি টিভি চ্যানেল আল-আরাবি আল-জাদিদকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে তিনজনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে; তারা গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেননি হামাসের এ নেতা।

বাসিম নাঈম আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তারা নারী ও শিশুদের মুক্তি দিয়েছেন। তবে যদি নতুন কোনো অর্থবহুল চুক্তি হয়— তাহলে পুরুষ ইসরায়েলিদের ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত আছেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৭টা বাজার কয়েক মিনিট আগে উভয় পক্ষ জানায় তারা নতুন করে একদিনের চুক্তিতে পৌঁছেছে। তবে আগামীকাল মেয়াদ শেষ হলে— সেটি আর বাড়ানো হবে কি না এ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তির রয়েছে— তারা যদি ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ একদিন করে বাড়বে। তবে হামাস বৃহস্পতিবার আটজনকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছে।

ইসরায়েলি কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল রাতে চুক্তির বাইরে যে দুই রাশিয়ান-ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস— তাদের বৃহস্পতিবার মুক্তির তালিকায় দেখানো হবে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির বাড়বে না কি বাড়বে না, এ নিয়ে শঙ্কায় আছেন গাজাবাসী। তারা আশঙ্কা করছেন বিরতির মেয়াদ না বাড়লে যে কোনো সময় আবারও বিমান হামলা চালানো শুরু করবে বর্বর ইসরায়েলি সেনারা।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই