ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার বহু ভবন -ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে নতুন করে আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তবে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রথমদিন— ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ তুলেছে হামাস।

সশস্ত্র এ গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল স্পষ্টভাবে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তবে হামাস জানিয়েছে, যদি ইসরায়েলিরা পরবর্তীতে আর চুক্তি ভঙ্গ না করে তাহলে তারা যুদ্ধবিরতিতে অটুট থাকবে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে হামাস যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে— যেন ইসরায়েলিরা আর চুক্তি লঙ্ঘন করতে না পারে।

বিবৃতিতে হামাস আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা চুক্তি ভঙ্গ করায় তাদের যোদ্ধারা এর জবাব দিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র এ গোষ্ঠী বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছিল, গাজা উপত্যকায় দুটি আলাদা স্থানে তাদের সেনাদের কাছাকাছি জায়গায় তিনটি বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

তারা আরও দাবি করেছে, এক জায়গায় হামাসের যোদ্ধারা তাদের সেনাদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছুড়েছে। যেটির জবাব দিতে তারাও পাল্টা গুলি ছুড়েছে।

গত শুক্রবার হামাস ও ইসরায়েল প্রথমবারের মতো চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। যা গতকাল সোমবার (২৭ নভেম্বর) শেষ হয়। এরপর আবার নতুন করে দুইদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুইপক্ষ।

যুদ্ধবিরতি চললেও ইসরায়েলি সেনারা এখনো গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের যোদ্ধারা দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের কাছাকাছি জায়গাতেই রয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই