যুদ্ধবিরতির মধ্যে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। মুক্তিপ্রাপ্তদের নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করেছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর এসব সহায়তা মিসর হয়ে গাজায় পৌঁছে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর তিনটি বিমান।

ধারণা করা হচ্ছে, আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রথম বিমানটি মিসরে এসে পৌঁছাবে।

এই সহায়তায় থাকবে চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার এবং শীতের পোশাক। গাজায় এখন বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। ফলে সেখানে এখন ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সেখানে শীত পড়বে। আর শীতের মধ্যে গরম কাপড়ের প্রয়োজন হবে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া লাখ লাখ মানুষের।

গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়ার পর সেখানে মানবিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির সঙ্গে এ সহায়তার কোনো সম্পর্ক নেই। এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর হামলা, পাল্টা-হামলা শুরু হলেও মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

মার্কিনিদের পাঠানো এসব সহায়তা জাতিসংঘের মাধ্যমে গাজার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর আগে পাঁচটি সাধারণ বিমানে করে এই অঞ্চলের জন্য সহায়তা পাঠিয়েছিল মার্কিনিরা।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে যেন যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়া যায় সেজন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে বিরতিহীনভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধ শুরুর পর দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই হলেন নারী ও শিশু। বেসামরিক এসব মানুষদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই