মিসরীয়, কাতারি এবং মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কাছাকাছি পৌঁছেছেন। সোমবার প্রথম দফার চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার আগে মিসরের সরকারি একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। গত সাত সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের অবসানে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মাঝে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর এই ইঙ্গিত দিয়েছে মিসর।

মিসরীয় ওই সূত্র বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীগোষ্ঠী হামাস আবারও চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতি একদিন 
একদিন করে বৃদ্ধি করতে চাইছে। জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির আলোচনা চলছে।

এর আগে ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা ইসরায়েলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তারা প্রতিবার অতিরিক্ত ১০ জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত একদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছে। আর মুক্তি পাওয়া জিম্মির বিপরীতে একই সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ অতিরিক্ত আরও পাঁচদিন করার কথা ভাবছে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আলোচনার সাথে জড়িত ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস এবং ইসরায়েল— উভয়ই যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর অনুরোধে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার চার বছর বয়সী ইসরায়েলি-আমেরিকান এক মেয়ে শিশুসহ ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৮ জিম্মি হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। একই দিন ৩৯ ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১১৭ জনে পৌঁছেছে।

বর্তমান চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হামাস গাজায় জিম্মি করে রাখা মোট ৫০ ইসরায়েলি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে। সেই হিসেবে সোমবার আরও ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে হামাসের। তবে চুক্তিতে কতজন বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে সেই বিষয়ে কোনও শর্ত নেই।

সোমবার ইসরায়েলের সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় এখনও বন্দী মোট জিম্মির সংখ্যা ১৮৪। যার মধ্যে ১৪ জন বিদেশি এবং ৮০ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস