মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের রেডক্রসের গাড়িতে করে গাজা থেকে মিসরের রাফাহ ক্রসিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের কূটনৈতিক তৎপরতায় গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। বিরতির প্রথমদিন ১৩ ইসরায়েলি জিম্মি ছাড়াও ১০ থাই নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস।

ওইদিন মুক্তি পাওয়া থাই নাগরিকদের মধ্যে একজন হলেন ভেটন ফুমে। তিনি কাজের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলে গিয়েছিলেন। গত ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ভেটন ফুমেসহ বেশ কয়েকজন থাই নাগরিককে ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। তবে গাজায় নিয়ে গিয়ে তাদের ওপর কোনো অত্যাচার বা নির্যাতন চালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ভেটন ফুমের বোন রোনগারুন ওইচানগুয়েন।

তিনি জানিয়েছেন, তার ভাইকে কোনো ধরনের মারধর তো করা হয়নি; উল্টো ভালো খাবার খাওয়ানো হয়েছে।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার মনে হয়েছে ‘তার ভাইয়ের খুব ভালো যত্ন নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেছেন, ‘তার চেহারা খুব হাসিখুশি ছিল এবং তাকে দেখে মনে হয়েছে সে ভালো আছে। সে জানিয়েছে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়নি অথবা আঘাত করা হয়নি এবং তাকে ভালো খাবার খাওয়ানো হয়েছে।’

মুক্তি পাওয়া থাই জিম্মির বোন আরও বলেছেন, ‘তার খুব ভালো যত্ন নেওয়া হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে সে যেন কোনো বাড়িতে ছিল; কোনো সুড়ঙ্গে নয়।

শুক্রবার ১০ থাইকে ছাড়ার পর গতকাল শনিবার থাইল্যান্ডের আরও চার নাগরিককে ছেড়ে দেয় হামাস।  

জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে তৈরি হওয়া ইসরায়েলের কৃষিখাতে কাজ করেন হাজার হাজার থাই নাগরিক। তাদের কয়েকজনকে জিম্মি করেছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই