হামাসের যোদ্ধা -ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের চারজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠী। টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে আল-কাসেম ব্রিগেডস আল ঘানদোর (আবু আনাস) নামের এক কমান্ডারের নাম উল্লেখ করেছে। যিনি উত্তর গাজা ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। এছাড়া তিনি মিলিটারি কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন।

এসব কমান্ডার ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে প্রাণ হারান। গত ২৪ নভেম্বর চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল।

চার কমান্ডার নিহত হওয়ার তথ্য দিয়ে হামাস বিবৃতি প্রকাশের পর এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা এএফপি। তারা বলেছে, আল-ঘানদোর ছাড়াও আয়মান সিয়াম নামের অপর এক কমান্ডার নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে হামাস।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী আয়মান সিয়াম আল-কাসেম ব্রিগেডসের রকেট-ফায়ারিং ইউনিটের প্রধান ছিলেন।

অপরদিকে আল-ঘানদোরকে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালে ‘জঙ্গি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল এবং তার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আল-ঘানদোর হামাসের সূরা কাউন্সিল এবং পলিটব্যুরোর সাবেক সদস্য ছিলেন।

আল-ঘানদোর দখলদার ইসরায়েলিদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২০০৬ সালের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি সীমান্ত চৌকিতে হামলার ঘটনা। ওই হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হন এবং চারজন আহত হন।

ওই হামলা চালিয়ে গিলাড শালিত নামের এক ইসরায়েলি সেনাকে ধরে এনেছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। তাকে দীর্ঘ ৫ বছর আটকে রেখেছিল হামাস। ব্যাপক আলোচনার পর ২০১১ সালে গিলাড শালিতকে ফেরত দেয় হামাস। তবে এর বদলে ইসরায়েলি কারগার থেকে ১ হাজার ২৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করে তারা।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই