ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাক ঢুকল গাজায়
ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে রোববার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বহনকারী দুই শতাধিক ট্রাক প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে কিছু ট্রাক উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়কারী সংস্থা বলেছে, গাজায় ঢোকার জন্য মিসরের রাফাহ ক্রসিংয়ে যাওয়ার আগে মিসরের নিৎজানা ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ট্রাকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। ইসরায়েলের অনুমোদন পাওয়ার পর কয়েক ডজন ট্রাক এবং ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স উত্তর গাজা উপত্যকার দিকে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থল হামলা শুরু করার আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের উপত্যকার দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে মানবিক করিডোর ব্যবহার করে লাখ লাখ মানুষ উপত্যকার দক্ষিণে যান। কিন্তু সেখানেও ইসরায়েলি হামলার শিকার হন তারা।
মিসর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের চারদিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে খাদ্য, পানি এবং ওষুধসহ রোববার দুই শতাধিক ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় জিম্মি প্রায় ৫০ শিশু ও নারীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আর প্রত্যেক ইসরায়েলির বিনিময়ে তিনজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল।
গত শুক্রবার চারদিনের মানবিক বিরতির প্রথম দিনে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। বিনিময়ে ইসরায়েলি ও বিদেশি ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। এরপর শনিবার ইসরায়েলের ১৩ বন্দিসহ আরও ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠী। মুক্তি পাওয়া অন্য চার বন্দি থাইল্যান্ডের নাগরিক।
যদিও দ্বিতীয় দফায় এই মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে বেশ কয়েক ঘণ্টার বিলম্বের পর ওই ১৭ জনকে মুক্তি দেয় হামাস। ইসরায়েল চলমান যুদ্ধবিরতির একটি শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর বন্দি মুক্তিতে ওই বিলম্ব হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।
এসএস