ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনী ৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নাবালক শিশুও রয়েছে। শনিবার গভীর রাত এবং রোববার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় তারা প্রাণ হারান।

রোববার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার গভীর রাতে এবং রোববার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে দুই নাবালক ও অন্তত একজন বন্দুকধারীসহ ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে চিকিৎসক ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পাঁচজন পশ্চিমতীরের জেনিন শহরে প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, একজন ফিলিস্তিনিকে আটক করার জন্য তারা সেখানে অভিযান চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, গত আগস্টে পশ্চিম তীরে এক প্রাণঘাতী হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে ওই ফিলিস্তিনিকে সন্দেহ করা হচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে জেনিনের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। তবে জেনিনের ঘটনাকে যোদ্ধা ও সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনে ‘বিভিন্ন দিক থেকে হামলা চালায় এবং সরকারি হাসপাতাল ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে গুলিবর্ষণ করে’।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ষষ্ঠ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটেছে নাবলুস শহরের কাছে অবস্থিত ইয়াতমায় গ্রামে। আর সপ্তম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম তীরের আল-বিরেহ শহরের বাইরে একটি ইহুদি বসতির কাছে। এসব ঘটনায় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেনিনে ইসরায়েলি হামলায় আরও ছয় ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া ‘শহীদদের আত্মার প্রতি শোক জানাতে’ রোববার জেনিনে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি দল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ওয়াফা।

অন্যদিকে আল জাজিরা জানিয়েছে, পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত এই ভূখণ্ডে ৫২ শিশুসহ কমপক্ষে ২২৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।

টিএম