রেড ক্রসের গাড়িতে করে গাজা থেকে মিসরে নিয়ে আসা হয় ইসরায়েলি জিম্মিদের

কাতারের মধ্যস্থতায় গতকাল শুক্রবার থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে শুরু হয়েছে চারদিনের যুদ্ধবিরতি। বিরতির প্রথমদিন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। অপরদিকে চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ৩৯ ফিলিস্তিনিকে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়।

হামাস যেসব ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের যে দুটি হাসপাতালে জিম্মিদের নেওয়া হয়েছে, সেই হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জিম্মিদের সবার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো।

পিটাহ তিকভার স্কেনডিয়ার চিলড্রেনস মেডিকেল সেন্টার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলে গতকাল রাতে যে চার শিশু ও চার নারী ফিরে এসেছেন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিরা আলাদা কম্পাউন্ডে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে মেডিকেল ও সাইকো-সোশ্যাল দল।

ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবের দক্ষিণের হোলোনের ওলফসন মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে ৫ বৃদ্ধাকে। এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া ৫ জনের সবার অবস্থা স্থিতিশীল।

এক বিবৃতিতে হাসপাতালটি বলেছে, ‘গতকাল মেডিকেল দল তাদের যেসব শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে সেটির ফলাফল অনুযায়ী প্রত্যেককে সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি এবং আশা করছি সব জিম্মি ফিরে আসবে।’

এছাড়া সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল মুক্তি পাওয়া জিম্মি নারী ও শিশুদের একাধিক ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, জিম্মিদের গায়ে আঘাতের একটি চিহ্নও নেই। উল্টো বৃদ্ধাদের বেশ হাসিখুশি এবং শিশুদের দৌঁড়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে যেতে দেখা গেছে।

চারদিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ। আর এদিন হামাস আরও ১৪ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে। এছাড়া ইসরায়েলও তাদের কারাগার থেকে আরও ৪২ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই