গাজা থেকে ফিরছে ইসরায়েলি ট্যাংকের বহর

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরই ফের গাজায় হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যাল্যান্ট।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এদিন ইসরায়েলে যান ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতালিয়ান মন্ত্রীর কাছে পুনরায় হামলা শুরুর কথা বলে গ্যালান্ট। তিনি বলেছেন, ‘লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না; হামাসকে ধ্বংস করা এবং জিম্মিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা আমাদের লক্ষ্য। গাজায় ২৪০ জন জিম্মি রয়েছে— যেটি আমরা মানতে পারব না এবং সহ্য করব না।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘চারদিনের যুদ্ধবিরতি একটি স্বল্পকালীন বিরতি। এই যুদ্ধবিরতির পর আমরা পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়ে অভিযান চালাব।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস। ওইদিন থেকেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। যুদ্ধের শুরু থেকে গাজায় নির্বিচারে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশু হলো ৬ হাজার ১৫০ জন।

কাতার ও মিসরের ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার পর হামাস ও ইসরায়েলে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। যা স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়।

চারদিনের এ যুদ্ধবিরতির মধ্যে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে গাজায় বিপুল ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দেবে ইসরায়েল।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই