যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলিদের গুলি, নিহত ২ ফিলিস্তিনি
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দলে দলে সাধারণ মানুষ তাদের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছেন। এমনকি যারা গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাও তাদের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছেন।
তবে উত্তরাঞ্চলে না ফিরতে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের সতর্কতা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ ধরনের সতর্কতা দিয়ে তারা আকাশ থেকে লিফলেটও ফেলেছে।
বিজ্ঞাপন
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের সতর্কতা উপেক্ষা করে যারা বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করেছেন তাদের লক্ষ্য করে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সরাসরি গুলি ছোড়া হয়েছে। এতে কমপক্ষে দুইজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের সবার পায়ে গুলি ছোড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে, গাধার গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরছেন।
এসব মানুষ হাসপাতাল, জাতিসংঘের স্কুলসহ অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
চারদিনের যুদ্ধবিরতির সুযোগে বাড়িতে থাকা শেষ সম্বল রক্ষার জন্য যাচ্ছেন তারা। এছাড়া অনেকে নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছেন। অনেকে যাচ্ছেন নিহত প্রিয়জনদের উদ্ধার করে চিরনিদ্রায় শায়িত করতে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের বাসিন্দারাও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের একজন হলেন ৫০ বছর বয়সী হায়াত আল-মুয়াম্মার। তিনি বলেছেন, ‘আমি বাড়িতে যাচ্ছি। আমরা মৃত্যু, ধ্বংস এবং সবকিছু থেকে পালিয়েছিলাম।’
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। এছাড়া উত্তরাঞ্চলে তাদের সেনাদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের উত্তরাঞ্চলে ফেরার সুযোগ তারা দিতে পারবে না। কিন্তু গাজায় এখন যে চিত্র দেখা যাচ্ছে সেটি হলো, সাধারণ মানুষ ইসরায়েলিদের সতর্কতা উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন।
সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল
এমটিআই