দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর কাতারের মধ্যস্থতায় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। গাজা উপত্যকার নুসেরাত শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা হামজা ইব্রাহিম বলেছেন, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার ফিলিস্তিনিরা আনন্দিত সঙ্গে তারা আবার দুঃখিতও।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে হামজা ইব্রাহিম বলেছেন, ‘অব্যাহত বোমা হামলার মধ্যে মানুষ যে কষ্ট এবং আতঙ্কে ছিল, এই যুদ্ধবিরতিটি সেই কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছে। এরমাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যাহিক কাজ করতে পারব এবং পরিবারের সঙ্গে আবারও পুনর্মিলিত হতে পারব। এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য আনন্দের।’

তবে ফিলিস্তিনিরা আবারও দুঃখিতও কারণ, যুদ্ধবিরতির পর আবারও সেই ‘দুঃস্বপ্ন’ ফিরে আসবে।

তিনি বলেছেন, ‘তারপরও, গাজাকে পুনর্গঠন করতে কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতি পর্যাপ্ত নয়। উত্তরাঞ্চলের যেসব মানুষের বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। যুদ্ধ শেষে এসব মানুষ কোথায় যাবে?’

‘গাজাকে পুনর্গঠন করতে আমাদের হাজার হাজার ট্রাক (সহায়তা) লাগবে; আমাদের গাজাকে পুনর্গঠন করতে কয়েক বছর কয়েক দশক লাগবে।’ যোগ করেন হামজা।

গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে শুরু হয়। ওইদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। যা যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত এক টানা চলেছে। ইসরায়েলিদের এ হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। অপরদিকে হামাসের হামলা প্রায় ৩৬০ সেনাসহ ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই