নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ইসলাম-বিরোধী নেতা গার্ট উইল্ডার্স। গতকাল বুধবার (২২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে উইল্ডার্সের রাজনৈতিক দল পার্টি ফর ফ্রিডম (পিভিভি) ৩৭ আসন পেয়ে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

তবে গার্ট উইল্ডার্সের এ জয় নেদারল্যান্ডসের মুসলিমদের মনে তৈরি করেছে আতঙ্ক। মুসলিম অধিকার সংস্থা— কন্টাক্ট বডি ফর মুসলিম অ্যান্ড গভার্নমেন্টের নেতা মুহসিন কোকটাস বলেছেন, ‘ডাচ মুসলিমদের জন্য এ নির্বাচনের ফলাফল উদ্বেগজনক। আমরা কেউ ভাবিনি আইন ও শাসন বিরোধী একটি দল এতটা বড় হবে।’

গার্ট উইল্ডার্স দীর্ঘ সময় ধরে নেদারল্যান্ডসে রাজনীতি করছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি একাধিকবার ইসলামের বিষেধাগার করেছেন। ইসলামকে নিয়ে করেছেন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। আর এসবের কারণে ২০০৪ সাল থেকেই পুলিশি নিরাপত্তায় মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাকে। ২০১৬ সালে মরক্কোর নাগরিকদের ‘ময়লা’ হিসেবে অভিহিত করে বৈষম্যের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

যদিও এবারের নির্বাচনের আগে তিনি ইসলাম-বিদ্বেষ কিছুটা কমিয়ে দেন। তবে তার দলের নির্বাচনী ইশতেহারে মসজিদ, কোরআন ও নারীদের স্কার্ফ নিষিদ্ধ করার অঙ্গিকার রয়েছে।

বুধবার জয়ের পর উইল্ডার্স বলেন, ‘আইন ও সংবিধানের মধ্যে থেকে’ তিনি তার নীতিগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন।

নির্বাচনের আগে উইল্ডার্স ইসলাম নিয়ে তার সুর নরম করলেও; তাকে নিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না ডাচ মুসলিম নেতা মুহসিন কোকটাস। তিনি বলেছেন, ‘নেদারল্যান্ডসে ইসলাম ও মুসলিমদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত।’

এই মুসলিম নেতা আরও বলেছেন, নেদারল্যান্ডসে মুসলিমদের অধিকার রক্ষা এবং আইন ও শাসন অক্ষুন্ন রাখতে তাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নেদার‌ল্যান্ডসের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যই এটি করতে হবে।

নেদারল্যান্ডসে বাস করেন মরক্কোর বংশোদ্ভূত অনেক মানুষ। তাদের একজন হলেন হাবিব এল কাদ্দুরি। তিনি ডাচ মরক্কানদের অধিকার রক্ষায় একটি সংস্থাও পরিচালনা করেন। হাবিব এল কাদ্দুরি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘উইল্ডার্স মুসলিম এবং মরক্কানদের সম্পর্কে (বিষেদাগারের জন্য) পরিচিত। আমাদের শঙ্কা সে আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখাবে।’

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই