এখন থেকে হামাসের প্রবাসী নেতা ও হাইকমান্ডকে নিজেদের নজরদারির আওতায় রাখবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিশাসিত এই ভূখণ্ডের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানী জেরুজালেমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মোসাদকে হামাসের শীর্ষ নেতাদের ওপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছি। এখন থেকে বিশ্বের যেখানেই তারা থাকুক, মোসাদের নজরদারির আওতায় থাকবে।’

২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এবং ফাত্তাহ কর্তৃপক্ষকে হটিয়ে গাজা উপত্যকার ক্ষমতা নেওয়া সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের হাইকমান্ড ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রায় কেউই গাজায় থাকেন না। গোষ্ঠীটির প্রথম সারির প্রায় সব নেতা থাকেন মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কাতারে। আর দ্বিতীয় সারির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অধিকাংশই লেবাননে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

হামাসের এই হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত দেড় মাসে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ হাজার ৫৩২ জনে। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন।

প্রসঙ্গত,মোসাদের বিরুদ্ধে এর আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী নেতাদের গুপ্তহত্যার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ ব্যপারে কখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সূত্র : এপি

এসএমডব্লিউ