গাজায় হাসপাতালের কাছে হামলায় ৬০ জনের বেশি নিহত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলা ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও সহস্রাধিক। হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, হাসপাতালের ভেতরের এবং এর আশপাশে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক আহমেদ আল-কাহলোত কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের আশেপাশের সব জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলি এবং বোমাবর্ষণ বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলায় প্রচুর ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের মনে রাখা দরকার উত্তর গাজা থেকে ওয়াদি গাদা পর্যন্ত কেবল এই একটি হাসপাতালই সচল আছে। আল-কাহলোত বলেন, গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি মানুষের মরদেহ হাসপাতালে এসেছে। হামলায় প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালের কর্মীরা অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু আমাদের কাছে এক ফোঁটা জ্বালানিও নেই। আমরা অন্ধকারের মাঝে হাতে টর্চলাইট নিয়ে কাজ করছি।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।
হামাসের এই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থলবাহিনীও। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ গেছে ১ হাজার ২০০ জনের।
সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স।
এসএস