ইসরায়েলের হেদেরার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের জরুরি বিভাগে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নিয়ে হঠাৎ করে অনেক নারী চিকিৎসার জন্য আসছেন। যাদের সবার বয়স ৫০ বছরের কাছাকাছি। আর তাদের ছেলে অথবা মেয়েরা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এখন গাজায় অবস্থান করছে।

হাসপাতালে আসা এসব নারীর বেশিরভাগই মানসিক চাপে ভুগছেন। এই চাপ থেকেই হার্ট অ্যাটাকের মতো পরিস্থিতিতে পড়ছেন তারা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

হাসপাতালটির কার্ডিয়াক বিভাগের প্রধান প্রফেসর অ্যারিয়েল রোগিন ‘ডক্টরস অনলি’ নামের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এবারই প্রথমবারের মতো আমাদের কার্ডিয়াক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি।’

কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য নারীরা সত্যিকার অর্থেই হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে আসছেন। কারও মধ্যে রক্তের ধমনীতে সমস্যা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগের ক্ষেত্রে ধরা পড়ছে— তারা তাকোতসুবু কার্ডিওমায়োপ্যাথিকে ভুগছেন। এটি হয় যখন প্রচণ্ড মানসিক চাপ অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটির কারণে হার্টের মাসলের কার্যকারিতা অস্থায়ী সময়ের জন্য ধীর হয়ে যায়।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হয় ইসরায়েলের স্থল হামলা। এই স্থল হামলা চালানোর আগে গাজা সীমান্তের কাছে ৩ লাখ সেনা জড়ো করেছিল ইসরায়েল। তাদের মধ্যে কতজন গাজায় প্রবেশ করেছে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তবে সংখ্যাটি যে অনেক এ বিষয়টি নিশ্চিত।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই