ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের দেড় মাসে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১ হাজারেরও বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত সোমবার সেখানকার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যাবতীয় নিষ্ঠুরতা ও আগ্রাসনের শেকড় হলো ইরান। চলমান এই যুদ্ধে যদিও আমাদের গাজার দিকে বেশি মনযোগ দিতে হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই যুদ্ধ ইতোমধ্যেই বহুমুখী রূপ নিয়েছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এ অভিযানে যোগ দিয়েছে স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বিমান ও স্থল বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩ হাজারে। আর ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলি ভূখন্ডে হামলা চালানোর সময় সেখান থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মুক্তি দিলেও বাকিরা এখনও বন্দি আছেন।

এদিকে যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাসের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে ইরানের সমর্থন ও সহাতাপুষ্ট গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর নেতারা সে সময় বলেছিলেন, যে কোনো সময় গাজায় হামাসের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দেবে এই গোষ্ঠী। পরে অবশ্য গোষ্ঠীটির প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ জানিয়েছিলেন, আপাতত ইসরালের সঙ্গে যুদ্ধের পরিকল্পনা নেই হিজবুল্লাহর।

টাইমস অব ইসরায়েলকে গ্যালেন্ত বলেন, গাজা উপত্যকায় সরাসরি গিয়ে যুদ্ধ না করলেও ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় বিরতিহীনভাবে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে হিজবুল্লাহ এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই হামলার মাত্রা বাড়ছে।

গ্যালেন্ত বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি যে কেবল হিজবুল্লাহই নয়— ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে নিজেদের সহায়তাপুষ্ট বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে ইরান। আমরা এসব নজরে রাখছি এবং যথাযথ জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

সূত্র : আল আরাবিয়া

এসএমডব্লিউ