ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশ ধসে আটকে থাকা ৪০ শ্রমিককে উদ্ধারের কাজ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার খননযন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর সরানোর সময় ফাটল ধরার বিকট শব্দ পান উদ্ধারকারীরা। তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজ।

উদ্ধারকারীদের ধারণা, সুড়ঙ্গের ভেতরে আরও একটি ধস নেমেছে। এর মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে গেলে আরও ধস নামতে পারে। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের কীভাবে উদ্ধার করা হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও।

ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ উদ্ধারকাজ চলার সময় একটি বড় ফাটলের শব্দ শোনা যায়। সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো দলগুলোর মধ্যে আতংকে ছড়িয়ে পড়ে। আরও ধস নামার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনতে থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের দু’টি সংস্থাকেও ডেকে পাঠিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ১৬৫ জন সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজের বাহিনী। জানা গিয়েছে, ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন শ্রমিক।

প্রসঙ্গত, রোববার (১২ নভেম্বর) ভোর ৪টায় টানেলের ভেতরে ধসের ঘটনা ঘটে। টানেলটির নির্মাণকাজ চলছিল। বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সুড়ঙ্গের কাঠামো ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। 

এমএ