জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

সংক্ষিপ্ত এক সফরে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) জার্মানিতে গিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে তার্কিস প্রেসিডেন্টের এবারের জার্মান সফরটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে প্রকাশ্যে এরদোয়ানের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।

শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন এরদোয়ান ও শলৎজ। সেখানে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রসঙ্গ নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি আমাদের সংহতি নিয়ে কোনো ছাড় (আলোচনা) হবে না।’

শলৎজ এমন কথা বলার পর এরদোয়ান মন্তব্য করেন, জার্মানি ইসরায়েলের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে হলোকাস্ট (গণহত্যা) চালিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি তুরস্কের কোনো দায় নেই। এ কারণে তারা প্রকাশ্যে যা খুশি তাই বলতে পারেন।

এ ব্যাপারে এরদোয়ান বলেন, ‘ইসরায়েলের কাছে আমাদের কোনো দায় নেই। এ কারণে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি। যদি আমাদের দায় থাকত, আমরা স্বাধীনভাবে কিছু বলতে পারতাম না। কিন্তু যাদের আছে (জার্মানিসহ গণহত্যায় অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশ) তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না।’

এছাড়া ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এরদোয়ান। গাজায় নির্বিচার বোমা হামলারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। এরদোয়ান বলেছেন, ইহুদিদের ধর্মীয়গ্রন্থ তোরাহতে শিশু ও হাসপাতালের হামলার নির্দেশনা নেই।

হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন জার্মানি ও তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধানরা।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই