২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। রুশ সৈন্যদের হামলার পর ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশের সব সক্ষম নাগরিকের যুদ্ধে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। এর অংশ হিসেবে সক্ষম ব্যক্তিদের নাম সেনাবাহিনী তালিকাভুক্ত করে।

তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধে যোগ না দিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর ২০ হাজার ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের বেশিরভাগ রোমানিয়া, মলদোভা, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়ায় গেছেন।

দেশ ছাড়তে হাজার হাজার মানুষ সাঁতরে পার হয়েছেন ঝুঁকিপূর্ণ নদী। অন্যরা পায়ে হেঁটে রাতের আধারে পালিয়েছেন।

অপরদিকে পালানোর সময় আরও ২১ হাজার ১১৩ জনকে আটক করে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী।

রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পরই ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী সকল পুরুষের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউক্রেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেছেন।

পালানোর চেষ্টার সময় যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ধরা পড়েছেন নদী সাঁতরে পার হওয়ার সময়। আর বাকিরা নকল মেডিকেল রিপোর্টের মাধ্যমে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

যারা পালিয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য দেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, কেউ পড়তে গেছেন। আর কেউ কেউ শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য পালিয়ে গেছেন।

তবে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করা নিয়ে অনেকে খুশি নন। তাদের একজন ইয়েভগিনি। তিনি বলেছেন, ‘আমি ইউক্রেনে কি করব? সবাই যোদ্ধা নয়। আপনাকে পুরো দেশ আবদ্ধ করে রাখতে হবে না। সোভিয়েত ইউনিয়নে যেমন সবাইকে এক করা গিয়েছিল; এখানে তেমনটা হবে না।’

এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ প্রায় দুই বছরে গড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুই দেশ যুদ্ধ থামাতে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই