ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্তের গোপনাঙ্গ কেটে থানায় প্রবাসীর স্ত্রী
পেশাগত কারণে স্বামী থাকেন সৌদি আরবে। এই সুযোগে প্রবাসী ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। পরে কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অভিযুক্তের গোপনাঙ্গ কেটে নেন প্রবাসীর স্ত্রী। পরে সেটি হাতে নিয়েই চলে যান থানায়।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী। যদিও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে ভুক্তভোগী নারীকে আটক করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলায়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়ির ভেতরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা এবং এর জেরে অভিযুক্ত ব্যক্তির গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলায় পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণচেষ্টার একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই নারী ছুরি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির গোপনাঙ্গ কেটে দেন এবং তারপরে ঘটনাটি জানাতে গোপনাঙ্গের ওই বিচ্ছিন্ন অংশ নিয়ে থানায় চলে যান।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, অভিযুক্তের বয়স ২৩ বছর এবং ওই লোকটি তার বাড়িতে ‘হেলপার’ বা সহযোগী হিসাবে কাজ করেন। আর তার স্বামী সৌদি আরবে গাড়ি চালকের কাজ করেন।
ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বুধবার বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওই ব্যক্তি ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণচেষ্টার একপর্যায়ে তিনি রান্নাঘর বন্ধ করার ভান করে নিজেকে ছাড়িয়ে নেন এবং পরে ছুরি নিয়ে ফিরে আসেন। পরে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করার সময় সেই ছুরি দিয়েই অভিযুক্তের যৌনাঙ্গ কেটে দেন তিনি।
এরপর ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তে ভেজা বিছানার চাদর এবং ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাকে চিকিৎসার জন্য প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
এছাড়া পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি ঘটনার ভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন। তার দাবি, ছোটবেলা থেকেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে কাজ করে আসছেন। ঘটনার দিন ওই নারী তাকে ডেকে আনেন এবং তাকে অজ্ঞান করে দেন। এরপর একপর্যায়ে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেন।
এদিকে অভিযুক্ত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩২৬ এবং ৩০৮ ধারায় ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরে ওই মামলায় তাকে আটক করা হয়।
মঞ্জানপুরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অভিষেক সিং বলেছেন, গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনাটি জানার পরপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পরে সেখান থেকে তাকে প্রয়াগরাজে রেফার করা হয়।
টিএম