ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চেপে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন অন্তত ১০০ জন রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে আচেহ প্রদেশের পিদি নামের একটি এলাকার সমুদ্রতীরে তারা পৌঁছান বলে জানা গেছে।

পিদি’র মৎসজীবী সমিতির প্রধান মিফতাহ কাত আদে রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এই রোহিঙ্গাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী এবং শিশু এবং তাদের মধ্যে অনেকেই খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিজনিত কারণে অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন।

পিদির স্থানীয় পুলিশ প্রধান এফেন্দিও এই রোহিঙ্গাদের আসার তথ্য স্বীকার করেছেন। তবে তারা মিয়ানমার না কি বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে এসেছেন— সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি তিনি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, তাদের একটি প্রতিনিধি দল আচেহের ‍উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

বস্তুত, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বা রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১৭ সালের পর এই ধারণা আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে বোমা হামলা করার অভিযোগ ওঠে সশস্ত্র রোহিঙ্গাগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বিরুদ্ধে। সেই হামলার জের ধরে বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে হামলা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সামনে টিকতে না পেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশসহ আশপাশের বিভিন্ন দেশে পালাতে শুরু করে। বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়ানমারে জাতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করতেই এই গণহত্যা চালিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ