সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সংসদ সদস্যরা অবস্থান করছেন এমন একটি গেস্টহাউসে পাহারা দিচ্ছেন সৈন্যরা। ছবিটি ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তোলা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে বিদ্রোহীদের সাথে চলছে সামরিক বাহিনীর এই সংঘাত।

এর মধ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর ভারতে পালিয়ে গেছেন মিয়ানমারের ৪০ জনেরও বেশি সেনা। পরে তারা ভারতীয় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সাথে প্রবল সংঘর্ষের একদিন পর ভারতের মিজোরাম রাজ্যে মিয়ানমারের অন্তত ৪৩ জন সৈন্য পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে মঙ্গলবার একজন ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

মিজোরামের পুলিশ কর্মকর্তা লালমালসাওমা হ্নামতে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তাদের ফেরত পাঠানো হবে কি না সে বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

অবশ্য শুধু সেনা সদস্যরাই না, তুমুল সংঘর্ষের কারণে মিয়ানমার থেকে ভারতে পালাচ্ছেন দেশটির হাজার হাজার বাসিন্দা। সোমবার মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক চৌকিতে হামলা চালিয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের এই সংঘর্ষ আরও নতুন দুটি ফ্রন্টে ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছেন।

মূলত ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সম্প্রতি সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু তিনটি গোষ্ঠীর সদস্যরা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে সমন্বিত হামলা শুরু করে।

ইতোমধ্যে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে কিছু শহর ও সামরিক চৌকির দখল নিয়েছে।

গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক বাহিনীর নিয়োগকৃত প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিদ্রোহ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমার ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশটির জেনারেলরা বলছেন, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

টিএম