১৯১২ সালে আটলান্টিক মহসাগরের বুকে ডুবে যাওয়া বিশ্বের বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের যাত্রীদের খাবারের মেন্যুকার্ড সম্প্রতি নিলামে তোলা হয়েছে। এর দাম উঠেছে ৮৩ হাজার পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি ১২ লাখ ৬৮ টাকা।

একই সঙ্গে নিলামে উঠেছে ডুবে যাওয়া জাহাজের এক যাত্রীর ঘড়ি, কম্বল এবং একটি পতাকা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজকীয় খানার ওই মেনুকার্ডই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হবে। 

নিলামে ওঠা সেই খাদ্য তালিকায় স্যামন, বিফ, স্কোয়াব, ডাক, চিকেন, পার্সনিপ পিউরিসহ রয়েছে ভিক্টোরিয়া পুডিং। এগুলো সবই রাজকীয় খাবার।

কালের নিয়মে সাদা মেন্যু কার্ডে রং চটে লালচে হয়েছে। তবে প্রথম শ্রেণির খাবারের নামগুলো পড়তে অসুবিধা নেই। কার্ডের ডান পাশে লেখা, এপ্রিল ১১, ১৯১২! উপরে একটি লাল পতাকা, তার মাঝে সাদা তারা। যা আসলে টাইটানিকের পতাকা। সেকালের বৃহত্তম জাহাজের অহংকারের প্রতীক। যে অহংকার চূর্ণ করে বিরাট হিমশৈল। আরএমএস টাইটানিক ডোবায় মৃত্যু হয়েছিল দেড় হাজার মানুষের। ঠিক যেমনটা দেখানো হয়েছিল জেমস ক্যামারন পরিচালিত, কেট উইন্সলেট ও লিওনার্দো দিক্যাপরিও অভিনীত ছবিতে। তথাপি যারা লাইফবোটে জায়গা করতে পেরেছিলেন, তারা বেঁচে গিয়েছিলেন। তেমনই কোনো যাত্রী টাইটানিক ছাড়ার আগে হয়তো একটি মেন্যু কার্ড স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন।

ওই সময়ের বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এ জাহাজ কোনো দিন ডুববে না। যদিও জাহাজটি প্রথম সফরেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে এক প্রকাণ্ড হিমশৈলে ধাক্কা লেগে তলিয়ে যায় টাইটানিক। 

এমএ