পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো অনুব্রত মণ্ডলকে। এবার থেকে ‘সরকারিভাবে’ বীরভূম জেলার সংগঠন দেখবে নয় সদস্যের কোর কমিটি। তাহলে কি গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করল ঘাসফুল শিবির? জেলাজুড়ে এখন সেই প্রশ্ন। 

এদিকে, জেলার তৃণমূল চেয়ারপার্সন পদে রইলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পরই দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
জানিয়েছেন, এই সুযোগ দেওয়ার জন্য দলকে ধন্যবাদ। তবে জেলা সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলের নাম না থাকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। কোর কমিটির কোনো সদস্যের পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। 

বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে অনুব্রতর জেল থেকে বেরনোর আশা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছে অনেকে। সেই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ সঠিক হলে বীরভূমে এবার লোকসভা ভোটে অনুব্রতকে ছাড়াই লড়বে ঘাসফুল শিবির। চব্বিশের যুদ্ধের কয়েক মাসে আগেই জেলার সভাপতি ও চেয়ারপার্সন পদে বিরাট রদবদল ঘটাল শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলার নতুন পদাধিকারীদের নামের তালিকা সামনে আসতেই দেখা যায়, বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে নাম নেই অনুব্রতর। বদলে লেখা হয়েছে কোর কমিটির নাম। যা গত ১২ বছরে প্রথমবার।

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পরও অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আপাতত বীরভূম তিনি নিজে দেখবেন। মাঝেমধ্যে ফিরহাদ হাকিমকে পাঠাবেন। তবে সভাপতি পদ থেকে অনুব্রতকে সরানোর কোনও ইঙ্গিত তিনি দেননি। অবশ্য নয় সদস্যের কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন যারা জেলা সংগঠনের দেখভাল করছিল। এবারের প্রকাশিত জেলার পদাধিকারীদের নামের তালিকায় দেখা মিলল না অনুব্রতর নাম। 

তৃণমূলের এদিনের পদক্ষেপের পর থেকে বীরভূমের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি দল থেকে ‘দাপুটে’ অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল? সেই প্রশ্নে এখন দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল কর্মীরা। 

কেএ